আপনার ওজন ঠিক কত হওয়া উচিৎ,কতটা কমানো জরুরি?

আপনার ওজন ঠিক কত হওয়া উচিৎ,কতটা কমানো জরুরি?

Health Blogs
Hit Count : 402

সুস্থতার জন্য শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাটা খুবই জরুরি। ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। বিগড়ে যায় শরীরের নমনীয়তাও। আবার ওজন অস্বাভাবিক ভাবে কমে গেলেও শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। আদর্শ ওজন নির্ণয়ের পদ্ধতিতে একজন ব্যক্তির ওজন কিলোগ্রামে মাপা হয় আর উচ্চতা মাপা হয় মিটারে। ওজনকে উচ্চতার বর্গফল দিয়ে ভাগ করা হয়। এই ভাগফলকেই বিএমআই (BMI) বলা হয়। বিএমআই ১৮ থেকে ২৪-এর মধ্যে হলে তা স্বাভাবিক বলে মনে করা হয়।


উচ্চতা: ফুট ইঞ্চি--> পুরুষ: ওজন ৪৮-৬০ কিলোগ্রাম / মহিলা: ওজন ৪৫-৫৭ কিলোগ্রাম।

উচ্চতা: ফুট ইঞ্চি--> পুরুষ: ওজন ৫০-৬২ কিলোগ্রাম / মহিলা: ওজন ৪৬-৫৯ কিলোগ্রাম।

উচ্চতা: ফুট ইঞ্চি--> পুরুষ: ওজন ৫১-৬৪ কিলোগ্রাম / মহিলা: ওজন ৪৮-৬১ কিলোগ্রাম।




     

       কেন ওজন কমাবেন?

v স্থূল ব্যক্তিদের ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র সাধারণ মানুষের তুলনায় বেশি হয়। আবার ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে গেলে তার সঙ্গে ডায়াবেটিসজনিত জটিলতাগুলোও বেশি মাত্রায় দেখা দেয়।

v রক্তনালির দেয়ালে অতিরিক্ত চর্বি জমা হওয়ার কারণে হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা ও উচ্চ রক্তচাপ সাধারণ মানুষের তুলনায় বেশি হয়। এমনকি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

v বেশি চর্বি জমা হওয়ার কারণে পেটের এবং পায়ের মাংসপেশির সংকোচন ও সম্প্রসারণ বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে হার্নিয়া হতে পারে এবং পায়ের শিরায় ভেরোকোসিটি দেখা দেয়।

v নাক ডাকা, স্লিপঅ্যাপনিয়া জাতীয় রোগ বেশি হয়। শ্বাসপ্রশ্বাসের অসুবিধা, দিন ও রাত উভয় সময়েই বেশি ঘুম, ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা, মুখ হা করে শ্বাস-প্রশ্বাস ও পলিসাইথিমিয়া হতে পারে।


ওজন কমান প্রাকৃতিক নিয়মে:

নিয়মিত ব্যায়াম করুন:দ্রুত ওজন কমানোর জন্য প্রতিদিন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে হালকা ব্যায়াম করুন অথবা দৌড়ান।



 

লেবু জলের সাহায্যে: লেবুতে থাকে সাইট্রিক অ্যাসিড যা দেহের অতিরিক্ত ফ্যাট কমিয়ে দেয় ফলে দেহের ওজন দ্রুত কমে যায়।



 

সকালের ব্রেকফাস্টে খান ডিম: ডিমের সাদা অংশে থাকে প্রোটিন যা দেহে প্রোটিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে দেহের অতিরিক্ত চর্বি জমতে বাধা দেয় , ফলে দেহের ওজন কমে।



 


যে খাবারগুলি মেনুতে এড করবেন : কমানোর জন্য খাবারের মেনুতে রাখুন অধিক শাক সবজি। চর্বিহীন মাংস সয়াবিন , ছোটমাছ ইত্যাদি প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি করে খান। খাবারের মেনুতে অবশ্যই শশা, গাজর , টমেটো ইত্যাদি দিয়ে তৈরি স্যালাড রাখুন।



প্রতিদিন ফল খান: বিভিন্ন ধরণের টক জাতীয় ফল যেমন আঙ্গুর, আপেল, কমলা লেবু, পেয়ারা, ইত্যাদি ফলে থাকে অ্যাসিড যা দেহের চর্বি কম করে। প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম ফল বা একগ্লাস ফলের জুস্ পান করুন।