১.জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার
জিংক মানুষের কোষে ভাইরাসের প্রতিলিপি তৈরিতে বাধা দিতে পারে। ইউনিভার্সিটি অব টাম্পার নিউট্রিশন অ্যান্ড কাইনসিওলজির অধ্যাপক মেলিসা মরিস রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে এমন খাবারের তালিকায় জিংক উপরের দিকে রেখেছেন।
এছাড়াও জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের জোগান দেয়। জিংকের কিছু উৎস হলো -
· গরুর মাংস,
· কাজু বাদাম,
· কাঠবাদাম,
· চিনাবাদাম,
· মসুর ডাল,
· ছোলা,
· মিষ্টি কুমড়ার বীজ ,
· ডিম ।
২.প্রোটিন
প্রোটিন ক্ষতিগ্রস্ত কোষ মেরামতিতে সাহায্য করে এবং ইমিউনিটি বাড়ায়। এজন্য প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে হবে। প্রোটিনযুক্ত খাবারের তালিকা হল -
· বাদাম
· ডাল
· দুগ্ধজাত দ্রব্য
· মাংস
· মাছ
৩. ভিটামিন ‘এ’
ভিটামিন ‘এ’ ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে অথবা মারাত্মক পরিণতির ঝুঁকি কমতে পারে। ভিটামিন ‘এ’ পাবেন যে খাবারে -
· মিষ্টি আলু,
· গাজর,
· গাঢ় সবুজ শাকসবজি,
· লাল ক্যাপসিকাম ।
৪.ভিটামিন ‘সি’
ভিটামিন সি ইমিউনিটি বাড়ানোর সব চেয়ে ভালো উৎস। ভিটামিন সি ভাইরাস সংক্রমণের অসুস্থতা থেকে সুস্থ হতে সাহায্য করে। করোনায় আক্রান্ত হলে অবশ্যই
· লেবু জাতীয় ফল,
· সবুজ শাক-সবজি,
· পেয়ারা,
· কিউই,
· ব্রকোলি,
· স্ট্রবেরি,
· পেঁপে -খাওয়া উচিত।
৫.ভিটামিন ‘ডি’
করোনাভাইরাসের নতুন-পুরোনো ধরন থেকে সুরক্ষা পেতে খাদ্যতালিকায় ভিটামিন ‘ডি’ রাখতে হবে। ভিটামিন ‘ডি’ এর জন্য খাবার খেতে পারেন-
· সমুদ্রের তৈলাক্ত মাছ,
· কলিজা,
· ডিমের কুসুম,
· পনির ,
· ভিটামিন ডি ফর্টিফায়েড ।
চিকিৎসকদের মতে শুধু খাবার খেয়েই ভিটামিন ‘ডি’-এর চাহিদা মেটানো কঠিন। তাই শরীরে ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়ার জন্য দিনের কিছু সময় (১৫ থেকে ৩০ মিনিট) রোদ পোহাতে হবে।
৬.তুলসী, আদা, গোলমরিচ, লবঙ্গ
শীতকালে সর্দি-কাশি প্রতিরোধ করতে পারে এমন বেশ কিছু উপকরণ রয়েছে, যেমন- তুলসী, আদা, গোলমরিচ, লবঙ্গ, রসুন। খালি পেটে এগুলি খাওয়া যায়।
৭.মিনারেল
এই সময়ে বেশি পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি জন্য ভরসা করা যেতে পারে কয়েকটি পানীয়ের উপর।
আদা ও অ্যাপল সিডার:
আদা ও অ্যাপল সিডার ভিনিগারের মিশ্রণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য উপকারী। আদায় আছে ঠান্ডা প্রতিরোধে লড়াই শক্তি। অ্যাপল সিডার ভিনিগারের ব্যাকটেরিয়া ও প্রিবায়োটিক শ্বাসনালীতে সংক্রমণ আটকে দেয়।
এই পানীয় তৈরির জন্য পানিতে পাঁচ মিনিট ধরে আদা ফুটিয়ে নিন। তারপর একটি পাত্রে লেবু, আদার রস এবং এক চামচ অ্যাপল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে নিন। ইচ্ছে হলে মিশিয়ে নিতে পারেন সামান্য গোলমরিচ গুঁড়াও।
হলুদ :
হলুদের অ্যান্টি ইনফ্লেম্যাটরি ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান খুবই উপকারী। এক ইঞ্চি লম্বা হলুদের সঙ্গে নিন হাফ চামচ গোলমরিচ পাউডার এবং ২ কাপ ফুটন্ত জল। ফুটিয়ে ফুটিয়ে এই মিশ্রণকে অর্ধেক করে নিতে হবে। খাওয়ার আগে মিশিয়ে নিন মধু।
গ্রানোলা স্মুদি :
গ্রানোলা স্মুদি হাই প্রোটিন পানীয়। বাড়িতেই তৈরি করুন এই পানীয়। গ্রানোলা, দারুচিনি, টকদই, কলা, ফ্ল্যাক্সসিড ও মধু মিশিয়ে নিন। এই স্মুদি খুবই স্বাস্থ্যকর পানীয়।
চা :
শ্লেষ্মা থেকে মুক্তি পেতে বাড়িতেই তৈরি করুন এই চা। ১ চামচ মেথিদানা, ১০ গ্রাম তুলসিপাতা, ২ চিমটি এলাচের সঙ্গে নিন ১ অথবা ২ চামচ মৌরি। ১ লিটার পানিতে এই উপকরণগুলো মিশিয়ে ফুটিয়ে অর্ধেক করে নিন। মিশ্রণটি ছেঁকে উষ্ণ অবস্থায় পান করুন।
লিখেছেন - ইরোনা মৌমিতা
৩১ জানুয়ারি ২০২২
তথ্যসূত্র: